আলোকিত ডেস্ক:– নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত পাঠানটুলী কবরস্থান রোড এলাকার সামসুদ্দীন আঃ হান্নান মিয়ার কুখ্যাত ছেলে ধষর্ণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত সহ একাধিক মামলার আসামি প্রতারক মান্নানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে প্রতারক মান্নান তার মানব কল্যাণ পরিষদের দোকান দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। বিশেষ করে সার্টিফিকেট প্রদান ও পদক দেওয়ার কথা বলে নিরিহ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে রেজিস্ট্রিশন ফির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ টাকা। শুধু তাই নয় জেলা প্রশাসক ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে অনুদানের কথা বলে ও হাতিয়ে নিয়েছে লাখ টাকা।
প্রতারক মান্নান নিজেকে বিভিন্ন যায়গায় সমাজ কর্মী পরিচয় দিলেও আসলে সে একটা বাটপার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার মানব কল্যাণ পরিষদের দোকান দিয়ে তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল ও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সক্ষতা গড়ে তোলে। ৫ আগষ্টের পর প্রতারক মান্নান সহ তার মাদক ব্যবসায়ী ভাইদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তরুণ দলের সদস্য বানিয়ে মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে শীর্ষ পদক প্রতারক ও ধষর্ণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত সহ একাধিক মামলার আসামি বাটপার মান্নান দূর্নীতির দায়ে তার চাষাড়ার দোকান ঘর ছেড়ে পালিয়ে এখন ভাসমান অবস্থায় বিভিন্ন যায়গায় হকারি করে বলে জানা গেছে। পদক প্রতারক বাটপার মান্নানের বিষয়ে প্রতিবাদী ভাষায় বিশিষ্ট লেখক ও প্রকাশক সিনিয়র সাংবাদিক ইমতিয়াজ আলী বাবু বলেন মান্নান হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ শহরের অভিসাব। নারায়ণগঞ্জ বাসীর দূর ভাগ্য ওর মতো প্রতারকের কারণে সমাজে আজকে ভালো সংগঠন ও ব্যাক্তির মূল্য নেই। বাটপার মান্নান একজন চিহ্নিত প্রতারক যা অতিথে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ বাসী অবগত আছে। কবি আরো বলেন ডিসি অফিসে কিছু অসাধু কর্মকর্তা রয়েছে তাদের যোগসাজশে অপকর্ম করতে সাহস পায় বাটপার মান্নান। কখনো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জমি সহ গৃহনির্মাণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, আবার কখনো জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে দূস্থতের আর্থিক সহায়তার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় চাকরির কথা বলে ও হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। আর এই প্রতারক মান্নানের খপ্পরে পড়ে অনেক যুবক ও যুবতী আজ সর্বহারা পথের ফকির।
বাটপার মান্নানের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যা সঠিক তদন্ত করলে বিষয়টি উন্মোচন হবে জনগণ তথা প্রসাশনের কাছে। এখন প্রশ্ন হলো একজন সাজাপ্রাপ্ত সহ একাধিক মামলার আসামি কি ভাবে একজন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করে। নারায়ণগঞ্জ বাসী বলছে পদক প্রতারক বহু রূপী মাষ্টার মাইন্ড ধষর্ণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাটপার মান্নান কে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এই বাটপার মান্নান যখন যে দল ক্ষমতায় যায় তার দালালি করে চলে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে তার দুই ভাই মাদক ব্যবসায়ী নব্য যোগদান করা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তরুণ দলের সদস্য ৫ আগষ্টের আগে সরাসরি ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল আর প্রতারক মান্নান জরিত ছিল চন্দন শীল ও ওসমানের সঙ্গে।
স্থানীয় লোকজন বলছে পদক প্রতারক বাটপার মান্নান নিজেদের পিঠের চামড়া বাঁচানোর জন্য তার ভাই ও নিজে এখন বিএনপির পতাকা তলে এসেছে। এই প্রতারক মান্নানের খপ্পরে পড়ে অনেক যুবক পথের ফকির হয়েছে যা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বিয়টি তদন্ত করলে সব বেড়িয়ে আসবে।
প্রতারক মান্নান কর্তৃক যদি কেউ আরো প্রতারিত হয়ে থাকেন তাহলে আলোকিত সম্প্রচার পত্রিকার ইমেইল (alokitosomprochar41@gmail.com) অথবা ফোনের মাধ্যমে তথ্য দিতে পারেন আপনার তথ্যের মাধ্যমে আরো উন্মোচন করা হবে প্রতারক মান্নানের মুখোশ।