শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫
Array

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি, ঢাবিতে শহীদ হাসানের কফিন মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে শহীদ হাসানের জানাজা হয়েছে। পরে জুলাই অভ্যুত্থানে হাজারো ছাত্র-জনতার মৃত্যুর জন্য দায়ী, গণহত্যার মূলহোতা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল বের করেছে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জানাজা শেষে একটি মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় তারা ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’; ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; আমার ভাই কফিনে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘ছাত্র-জনতার অ্যাকশন, ডাইরেক অ্যাকশন’; ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, খুনি হাসিনা গেলি কই’; ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’; ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শহীদ হাসানের বাবা বলেন, আমার ছেলে গত ৫ আগস্ট বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। আমি সারাদিন খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাইনি। পরদিন থেকে আমি ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে শুরু করে ঢাকার প্রতিটি মর্গ, হাসপাতাল এবং কবরস্থানে খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু আমি আমার ছেলের সন্ধান পাইনি। এরপর ঢাকা মেডিকেলের মর্গে হাসান ইনাম ভাই এবং নাফিসা সাকাফি আপু আমার ছেলের লাশ শনাক্ত করে। পরে আমরা ডিএনএ টেস্ট দিয়ে ১ মাস ১ দিন পরে আজ ছেলের লাশ বুঝে পাই। ৫ আগস্ট যারা আমার ছেলেসহ হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে তাদের কঠিন থেকে কঠিনতর বিচার চাই। একজন একজন করে ধরে সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাই।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদের ধারা বজায় রাখতে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে গণহত্যা করেছে। তাই এ মাটিতে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে।

তারা বলেন, জুলাইয়ের একজন সৈনিকও বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের কবর রচনা করতে হবে। শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, যারা বিভিন্নভাবে তাদের পক্ষ নিয়েছে প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি তা না করে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা বিপ্লবকে সম্পন্ন করতে দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেবে। প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতাকে রুখতে পুলিশ, বিজিবি ব্যাপক গুলি চালায়। এসময় অনেকের সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ ছিলেন হাসান। দীর্ঘ ছয় মাস পর ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তার লাশের সন্ধান মেলে। পরে ফরেনসিক টেস্ট শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

বার্তাবাজার/এস এইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ সংবাদ

.