মব জাস্টিস ও শাহাবাগে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা বটতলা এলাকায় সমবেত হয়। সেখান থেকে একটি মিছিল শুরু করেন তারা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার বটতলায় এসে শেষ হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। ‘1234, শাহবাগী নো মোর’, ‘শাহবাগী সন্ত্রাস করে, ইন্টেরিম কি করে’, ‘শাহবাগের
দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’। তারপর একটি সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, আমরা জানি এই ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়েছিল যেখান থেকে সে শাহবাগী আন্দোলন আবারব জাগ্রত হয়েছে। আমরা ধিক্কার জানিয়ে বলতে চাই এই ফ্যাসিবাদের উত্থান যে জরেছিলো সে গণজাগরণ মঞ্চ সংগঠক লাকী আজকে সে রাজপথে স্লোগান দিয়ে বেড়াচ্ছে। আজকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যে লাকীর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়েছিল, সে লাকী কে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এই বাংলায় আমরা আর কখনো শাহবাগ কায়েম হতে দিব না। প্রয়োজনে আমরা রক্ত দিব, জীবন দিয়ে দিব তবুও আমরা আর এ শাপলা হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে দিবো না। আজকে যে ধর্ষণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়েছিল, সেখানে দিল্লির প্রেসক্রিপশনে ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল সে ষড়যন্ত্র আমরা কায়েম হতে দিব না। দিল্লির প্রেসক্রিপশনে বাংলা চলবে না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই এই শাহবাগী এই দেশকে নিয়ে আর কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারবে না। এই লাকিকে অতিদ্রুত গ্রপ্তার করতে হবে, না হলে আপনারা এ গদিতে টিকতে পারবেন না।
গণিত বিভাগের ৪৯ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সাফায়েত মীর বলেন, ভারতীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই শাহাবাগীর উত্থান। এই শাহাবাগীর মাধ্যমে বিএনপির সাকা চৌধুরী,দেশপ্রেমিক কাদের মোল্লা, দেশ প্রেমিক মুজাহিদ এদেরকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এই শাহাবাগীরা আমাদের ভাইদেরকে শাপলায় রক্তে রঞ্জিত করেছে। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম ২৪শের অভ্যুত্থানের পর এরা সুধরাবে কিন্তু এরা সুধরায় নি। যেহেতু তারা সুধরায় নি তাদেরকে আমরা রাজপথে মোকাবেলা করবো। আমরা দেখেছি ২৪শের আন্দোলনে তারা কীভাবে সুশীল ছিলো। এখন তারা গর্ত থেকে বের হয়েছে। আমরা তাদেরকে হুশিয়ারি দিয়ে জানাতে চাই আমরা শহীদদের রেখে যাওয়া স্বপ্নকে ধারণ করে, ২৪শে অভ্যুত্থানকে ধারণ করে শাহাবাগীর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান, লড়াই অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মব জাস্টিস এবং জুডিশিয়াল কিলিং কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। তারা আশা প্রকাশ করেন, সরকার তাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।