আলোকিত ডেস্ক:- নারায়ণগঞ্জ থেকে অবৈধ ভাবে প্রকাশিত দৈনিক রুদ্র বার্তা পত্রিকার ভুয়া সম্পাদক মলম শাহ্ আলমের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে প্রসাশন। মলম বিক্রেতা শাহ্ আলম যে পত্রিকা সম্পাদনা করে আসছে বিগত ১২ বছর যাবত সেই রুদ্র বার্তার আসল সম্পাদক ও প্রকাশক হচ্ছে শহিদুল ইসলাম পাইলট এবং শরীয়তপুর জেলা থেকে পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
অন্য দিকে ভুয়া সম্পাদক শাহ আলম নারায়ণগঞ্জ থেকে অবৈধ ভাবে পত্রিকা বাজার জাত করে প্রতারনার মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ কপি পত্রিকা ৫ টাকা করে প্রতি বছরে ৯০০,০০০/ নয় লাখ টাকা করে বিগত ১২ বছরের আনুমানিক ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারনা মাধ্যমে , ২০১২ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব হাসানুল মতিন নারায়ণগঞ্জ তিনি এই পত্রিকাটি অবৈধ ঘোষণা করে এবং তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার কে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। বিগত ১২ বছরেও কোন ব্যাবস্থা না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।
এই ভুয়া পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে নামে বেনামে মিথ্যা নিউজ করে হয়রানি করে,এবিষয়ে দৈনিক রুদ্র বার্তা পত্রিকার আসল সম্পাদক ও প্রকাশক শহীদুল ইসলাম পাইলটের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ০১৯৭৬৯৫৬৩৩১, ০১৭১৬৯৫৬৩৩০ মলম বিক্রেতা শাহ্ আলম একজন চিহ্নিত প্রতারক ও বাটপার, এই বাটপারে ২০০১/২০০৩/২০০৪ সাল পর্যন্ত উকিল পাড়া জগদীশ মিষ্টির দোকানের সামনে চকি বিছিয়ে চুলকানির মলম বিক্রি করতো আর সেই বাটপারে এখন একাধিক পত্রিকার সম্পাদক। সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে এই পত্রিকা নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত করে। এবং তার বিরুদ্ধে স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আমি কি করতে পারি।শাহ আলম নিশনদেহে ভন্ড প্রতারক ভুয়া সম্পাদক। যা নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিখিত ভাবে ২০১২ সালে প্রত্যয়ন পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে দৈনিক রুদ্র বার্তা পত্রিকা অবৈধ ভাবে শাহ আলম সম্পাদনা করছে। শুধু শাহ আলম তালুকদার একা নয়, দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট, পত্রিকার ও বৈধ কোন নিবন্ধন নেই।
দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকা দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত হলেও এই পত্রিকায় নামে বেনামে মিথ্যা নিউজ করায় ২০২৩ সালে বন্দর ৬ নং আমলী আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি মামলা নং পিটিশন ১০৬/২০২৩ ইং এবং মামলার পারপাসে জানা যায় দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকা ভুয়া, অবৈধ অনিবন্ধিত ভাবে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছিল। পত্রিকাটির তথাকথিত সম্পাদক নিজেকে বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের নেতা দাবী করে এতো বছর অবৈধ ভাবে সম্পাদনা করে আসছে। ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পর এই সমস্ত ভুঁইফোড় পত্রিকার সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের নেতা লেজ গুটিয়ে শহর ছেড়ে পালিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকদের মতে অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকা ছিল চাঁদাবাজির মুল হাতিয়ার। এই পত্রিকা দিয়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান,অটো রিকশা ইজিবাইকে স্টীকার লাগিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি আর মিথ্যা নিউজ করে মানুষ কে হয়রানি করতো বলে জানা যায় মাসুদুর রহমান তিনি একসময় সৌদি আরবে লেবারের কাজ করতো বলে জানা যায়। দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকা ভুয়া, নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ তাদের ভাস্য মতে বলছে যে প্রথম স্ত্রীর ভরনপোসন না দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে অটো রিকশা ইজিবাইকের চাঁদার টাকা দিয়ে রং তামাসা করে সে আবার সাংবাদিক যা হাস্যকর।
ঢাকা জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় লিখিত ভাবে চিঠি দিয়ে ও কোন কাজ হয়নি। সব জায়গায় এই বাটপারদের লোক রয়েছে দালাল হিসেবে।তা না হলে নারায়ণগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্র শহরের মধ্যে দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে ভুয়া পত্রিকা সম্পাদনা করছে আর কোন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রসাশন।
নারায়ণগঞ্জ বাসী তথা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত যেহেতু জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে তাহলে এই সমস্ত ভুয়া সম্পাদকদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশা বাদী। তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক রুদ্র বার্তার তথাকথিত সম্পাদক মলম শাহ আলমের নিকট এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।