পুলিশ পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলামের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনাব ন্দরে জাল স্টাম্পের মুল হোতা ওসমান পরিবারের দোসর গিয়াসউদ্দীনকে গ্রেফতারের দাবী
স্টাফ রিপোর্টার // নারায়ণগঞ্জে বন্দরে অপারেশন ডেভিল হান্ট ও নিয়মিত অভিযানে আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির সক্রিয় নেতাকর্মীসহ চিহৃিত দোসরদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হচ্ছে পুলিশ। বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের বিচক্ষনতায় বন্দরের চিহৃিত অপরাধীদের মনিটরসহ গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরন করে অনেকটা নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমান করেছেন।
অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্যে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা পড়লেও প্রকাশ্য জাতীয় পার্টির নেতারা। জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের ১৭ বছরে জিরো হতে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন জাহাঙ্গীর আলমসহ তার ভাইয়েরা।
অপরদিকে বন্দরের আমিন আবাসিক এলাকার এক সময়ের লজিং মাস্টার গিয়াসউদ্দিন ভেন্ডার হতে হয়েছেন চৌধুরী। ৯০ দশকে সোনারগাঁও হতে বন্দরের খান বাড়িতে গিয়ে লজিং মাস্টারী করে। তারপর স্ট্যাম্প লাইসেন্স, সার্ভেয়ার পরে ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নবীগঞ্জ রেজিষ্ট্রেশন অফিসে নিয়মিত কাজ শুরু করে।
এর মাধ্যমে পরিচয় হয় প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের সাথে। ওসমান পরিবারের দোসর গিয়াসউদ্দিন এরই মধ্যে পল্টি মারে শহরের রেজাউল করিম রাজার সাথে। রাজা মিয়ার গার্মেন্টসসহ সকল কিছু কৌশলে নিজের করে নোয় গিয়াসউদ্দিন ভেন্ডার। ওসমান পরিবারের দোসর হয়ে ৯০ দশক থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। জালিয়াতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
চাঁন মিয়া একজন বহুরূপী বালু দস্যু সুবিধাভোগী। ৯০ দশকে মুন্সিরগঞ্জ হতে বন্দরে আসে। বন্দর খেয়াঘাটে লেভারদের সর্দার ছিলেন। তারসাথে তাল মিলিয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িয়ে পরে। ৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোল্ট পাল্টায় চাঁন মিয়া।
ফের ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পূর্বের রুপে। তারপর বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে ওসমান পরিবারের একনিষ্ট ভক্ত ও কাছের লোক চাঁন মিয়া। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আগেও চারদলীয়জোট সরকার আমলে বালুর ব্যবসা ছিল বেশ। তারপর ১/১১ সময়ে সুকৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যায়। মহাজোট সরকার স্বৈরচারী সরকারের আমলে এমন কোন কাজ নেই যে তারা করেনি। ওসমান পরিবারের একজন দোসর।
জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াসউদ্দিন ভেন্ডার ও চাঁন মিয়ার স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তির পাহাড় সমান মালিক। এত অল্প সময়ে ওসমান পরিবারের দোসরা কিভাবে এত অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছেন সে বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলামের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন হতে।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে ৫ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা জেলায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও পরিকল্পনাকার।
ডেভিল হান্ট অভিযানে ওসমানদের দোসর ভদ্রবেশী জাহাঙ্গীর আলমের প্রকাশ্যতা দেখে জনমনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কে এই জাহাঙ্গীর আলম, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না কেন। বিএনপির একটি গ্রুপকে ম্যানেজ পূর্বক প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরছে চালাচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের সাত মাস অতিবাহিত হলেও বন্দরে ওসমানদের দোসররা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদেরকে আগের মতই অনেকটা প্রভাব খাটাতেও দেখা যাচ্ছে। এলাকায় ড্রেজার ব্যবসা থেকে শুরু করে এখনও নিয়মিত চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। ওসমান পরিবারের দোসরা রং ধনুর মত ভোল্ট পাল্টাতে সময় নেয় না।
যারা ১৬ বছর আগে চাল আনতে পান্তা ফুরানোর উপক্রম হতো। তারাই বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। টাকার প্রভাব ও নিজেদের পল্টিতে প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরছে কিভাবে? এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসন ডেভিল হান্ট অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডস্থ কবরস্থান রোড( সল্পের চক) এলাকা হতে বিএনপির নেতা কবির ওরফে গরু কবিরের বাড়ি থেকে থেকে কাজী জহিরকে গ্রেফতার করে ।
সাবেক কদম রসুল পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহির। বর্তমানে দেশের এমন প্রেক্ষাপটে কাজী জহির বিচার বাণিজ্য, অন্যের জমি দখল, বিশাল দাপটে ছিল। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি অভিযোগও হয়েছিল। দেশের আলোচিত এক নেতা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের রাজনীতির অনুসারী কবির ওরফে গরু কবির। কবিরের বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিচারে আসলে কাজী জহিরকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
বিচার শালিস হতে কাজী জহিরকে গ্রেফতারের বিষয়টি সবচেয়ে আলোচিত। কাজী জহির ওসমান পরিবারের একজন বিশস্ব গোয়েন্দা। শামীম ওসমানেে শীপের ব্যবসার উৎসাহদাতা কাজী জহির। এক সময়ের বেশ দাপটে প্রভাবশালী শামীম ওসমানের শীপ ক্রয় করে দেয়, পরে আরো ২ টি মোট ৩ শীপ ক্রয় করে দেয়। কাজী জহিরকে জিঙ্গাসাবাদ করলে শামীম ওসমানের অনেক গোপন তথ্য বের হয়ে আসবে বলে সুশীল মহলের দাবী।
জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। এমন একটা সময় গেছে রিক্সা ভাড়া দিতে কষ্ট হত। সেই জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে বিশাল অর্থশালী বনে গেছেন। নিজ এলাকা ছাড়াও মদনপুর ফুলহর এলাকায় তার শ্বশুর রহিম মিয়ার এলাকায় ডুপ্লেক্স ৫ তলা বিলাশ বহুল ভবন আছে, এছাড়া নিজ এলাকা রসুলবাগ, কলেজ মাঠ, মাঠপাড়া ৫ তলা ভবন, আমিন আবাসিক এলাকায় সাড়ে ৭ শতাংশ,৷ ৫ কাটা, কল্যান্দী এলাকায় ১শ শতাংশ জমি, খাদেম পাড়া ২ টি প্লট, কাইতাখালী নিতাই বাবুর ২৬ শতাংশ জায়গা ব্যাংক হতে ক্রয় ্করে, সোনাচড়া মন্দির সংলগ্ম ৩০৷ শতাংশ, মুছাপুর ইউনিয়নের প্রেমতল এলাকায় বিল্লাল মিয়ার ৩৩ শতাংশ, কুশিয়ারা হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ভেন্ডার রাজা মিয়ার ৮০ শতাংশ জমি তার স্ত্রী শিউলী বেগমের নামে।
এছাড়া নামে বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পত্তির মালিক। সহ বিভিন্ন এলাকায় আরো ১০/১৫ টি প্লট রয়েছে। ব্যাক্তিগত কোন ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকলেও আকিজ কোম্পানি ঘিরে সুবিধা ভোগীদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম একজন। স্বৈরাচারী সরকার ও দলীয় প্রভাবে জিরো হতে হিরো হয়েছে। ওসমান পরিবারের দোসরদের মধ্যে জেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
আকিজ কোম্পানি ঘিরে অল্প দিনে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। জাহাঙ্গীর আলমের অর্থ সম্পদ কিভাবে, জেলায় দায়িত্ব রত গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম এক জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে বিষধ বিশ্লেষণ ও তদন্ত সাপেক্ষে বেড়িয়ে আসবে অনেক অজানা তথ্য।
জাহাঙ্গীর আলম নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডের রসুলবাগ এলাকার। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মদনপুর ফুলহর এলাকার আঃ রহিম মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করে। বম্মপুত্র নদী খননের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় জাহাঙ্গীর আলমকে। প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ওই নদীর বালু উত্তোলন পূর্বক খনন করবে আবার বালু বিক্রি করে দলকে সুসংগঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমবায় সমিতির মত শেয়ার বিক্রি করে। নদী খননের নামে রাতের আধারে অজান্তে বালু বিক্রি( ভিডিও ফুটেজ)আছে।
এরপর আকিজ কোম্পানিকে জায়গা ক্রয়, দখল, নিজের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে যেখানে যা প্রয়োজন তাই করতেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার সাথে থাকা জীবনের অধিকাংশ সময় পার করা ত্যাগী লোকেরা কান্না জনিত কন্ঠে আক্ষেপ নিয়ে বলেন।
তারা আরো বলেন, জাহাঙ্গীর কে, আমরা ছিলাম বলে জাহাঙ্গীর আলম নামের কোন এক ব্যাক্তি হতে নেতা হয়েছে। তার দ্বারা এলাকার কারো উপকাট না হলেও অনেকের জীবন নষ্ট করেছে। নিজের ভাইয়েরা একজন কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এগুলো কি প্রশাসনের নজরে আসে না।
অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্যে কি জাহাঙ্গীর আলমদের মত ওসমানদের দোসররা পড়ে না এমনই প্রশ্ন সচেতন মহলের।